শহরের সব নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি গ্রামের জীবন ও অর্থনীতি বদলে দেওয়ার ভাবনা থেকে প্রকল্প হিসেবে হাতে নিয়েছে সরকার। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শীর্ষক এ মেগা প্রকল্পের অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট সংযোগসহ টেলি যোগাযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মতো অনেকগুলি লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
‘আমার গ্রাম আমার শহর’ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহারের একটি প্রকল্প। গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর: পাইলট গ্রাম উন্নয়ন’ নামে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা বলেছিল দলটি। মেয়াদের শেষ দিকে এসে প্রকল্পটি পাস করা হয়। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৮০০ কোটি টাকা।
পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৫ টি গ্রামকে প্রথমে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের সব গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে শহরের সব নাগরিক সুবিধা থাকবে। তখন মানুষ শহরমুখী না হয়ে গ্রামমুখী হবে।
গ্রামের অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যাচ্ছে, অনেক পুকুর রয়েছে, যে খানে মাছ চাষ হয় না। গ্রামীণ সড়কের দুপাশে ফলজ বা বনজ গাছ নেই। বাড়ির আঙ্গিনা উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয় না। উদ্বুদ্ধকরণ, তথ্য ঘাটতি এবং দক্ষতা ও প্রযুক্তির অভাবে গ্রামীণ এলাকার মানবসম্পদসহ যে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তার অনেকাংশে অপচয় হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় যৌথতার ভিত্তিতে শস্য চাষ ছাড়াও প্রতিটি গ্রামে একটি করে মৎস্য ও ডেইরি খামার স্থাপন করা হবে। প্রতিটি গ্রামে একটি কমিউনিটি ভবন স্থাপন করা হবে। যেখানে উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে ক্ষুদ্র পর্যায়ের সংরক্ষণাগার থাকবে।
আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পটির মাধ্যমে শহরের মতো গ্রামেও আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট সুবিধা, ইউনিয়নের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পানি ও স্যানিটেশন এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।